নিজস্ব প্রতিবেদক :
টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের চিত্রাংকন, রচনা ও বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ প্রতিযোগিতা বিচারকবিহীন হওয়ায় প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
আজ রবিবার (১৫ মার্চ) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২০ উদযাপন উপলক্ষে, গোপালপুর উপজেলা পরিষদের হলরুমে সকাল ৯টা থেকে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্য ও নির্বাচিত বিচারকগণ জানান, কোন রকম প্রস্তুতিমূলক সভা না করে এবং তাদেরকে না জানিয়েই এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বিচারকার্যে দক্ষতার সাথে ভূমিকা রাখায়, কিছু বিচারকের যোগসাজশে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বিচারকদের এ প্রতিযোগিতার বিচারকার্য থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া বেশকিছু প্রতিযোগির অভিভাবকগণ জানান, উপজেলা কর্তৃক আয়োজিত প্রায় সকল প্রতিযোগিতার ফলাফলে প্রতিবারই অনেকটা স্বজনপ্রীতি হয়ে থাকে। কিছু বিচারক তাদের নিজ স্কুলের শিক্ষার্থী, সন্তান এবং আত্মীয়দের প্রতিযোগিতায় ১ম-২য় স্থানে নির্বাচন করে থাকেন। এছাড়াও একই স্কুলের প্রতিযোগি অধিক হওয়ায় অন্য প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে তাদেরকে প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করানো হয়। একারণে প্রতিভা থাকা সত্বেও উপজেলার অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উপজেলা কেন্দ্রীক প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকে। শিশুদের মেধা বিকাশ ও স্বচ্ছতার বিষয়ে তারা যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সকাল ১১টার দিকে ‘উপজেলা প্রশাসন গোপালপুর টাঙ্গাইল’ ফেসবুক আইডিতে অনুষ্ঠান সংক্রান্ত এক পোস্টের তথ্যানুযায়ি দেখা যায়, এ প্রতিযোগিতার উপ-কমিটিতে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তফা কবীরকে আহ্বায়ক এবং উপজেলার মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদকে সদস্য সচিব করে, মোট ২০ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে থাকা একই পরিবারের ৩জনসহ ৫জন শিক্ষক ও অন্য ১জনকে বিচারক হিসেবে মনোনীত করে অনুষ্ঠান পরিচালনা করা হয়।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন সময়ে প্রতিযোগিতায় আত্মীয়করণ হচ্ছে বিষয়ে কয়েকজন দক্ষ ও অভিজ্ঞ বিচারক এই প্রসঙ্গে আলোচনা করলে, তাদেরকে কমিটি থেকে বাদ দিয়ে অনভিজ্ঞ বিচারকদের কমিটিতে রাখা হয়। ফলে বিচারকার্যে নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে আসছে।